চাল ধোয়া পানি অথবা ভাতের মাড়(Rice starch) কী করেন? ফেলে দিন নিশ্চয়। কিন্তু আপনি জানেন কী ত্বকের যত্নে ভাতের মাড় অনেক উপকারী? জাপান, চীনসহ বিভিন্ন দেশে ত্বকের যত্নে(Skin care) ভাতের মাড় ব্যবহার করা হয়। ত্বকের বয়সের ছাপ বা বলিরেখা দূর করতে ভাতের মাড় বেশ কার্যকর। শুধু ত্বকের বলিরেখা নয়, ত্বকের আরোও অনেক সমস্যা দূর করে দেবে এই ভাতের মাড় বা চাল ধোয়া পানি(Rice washing water)।
১। ব্রণের দাগ
ব্রণ(Acne) চলে গেলেও ব্রণের দাগ সহজে যেতে চায় না। এই জেদী ব্রণের দাগ(Acne scars) দূর করে দেবে ভাতের মাড়। শুধু ভাতের মাড়ের সাথে সামান্য হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন।
২। বলিরেখা দূর করতে
ভাতের মাড়ের সাথে এক টেবিল চামচ মধু(Honey), এক টেবিল চামচ দুধ(Milk) মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক ত্বকে ব্যবহার করুন। চালের থাকা উপাদান ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি পূরণ করে থাকে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক(Skin) থেকে সূর্যরশ্মির মাধ্যমে হওয়া ক্ষতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং ত্বকে সূর্যরশ্মির কারণে পড়া রিংকেল দূর করতেও সহায়তা করে।
৩। রোদেপোড়া দাগ
ত্বকের যেসকল স্থান রোদে পুড়ে গেছে সেসকল স্থানে ভাতের মাড় ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট এটি ত্বকে রাখুন। তারপর পানি(Water) দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
৪। ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে
সময় সাথে সাথে ত্বক নমনীয়তা হারিয়ে ঝুলে পড়ে। ত্বক(Skin) ঝুলে পড়া রোধে ভাতের মাড় বেশ কার্যকর। ভাতের মাড় নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে।
৫। লোমকূপ বন্ধ করতে
ত্বকের লোমকূপ বড় হয়ে গেলে তা দেখতে অনেক বাজে লাগে। এই লোমকূপ বন্ধ করার জন্য একটি তুলোর বল ভাতের মাড়ে(Rice Starch) ভিজিয়ে নিন। তারপর সেটি ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান।
যেভাবে তৈরি করবেন:
আধা কাপ চাল ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর এই চাল দুই থেকে তিন কাপ পানিতে সিদ্ধ করুন। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি(Water) এবং ভাত আলাদা করে নিন। ভাতের মাড়টি ত্বকে ব্যবহার করুন।