গরম চা-কফি কিংবা স্যুপ(Soup) খেতে নিশ্চয়ই ভালোবাসেন। এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে যারা গরম কিছু খাওয়ার সময় জিহ্বা পুড়ে না। মূলত অসাবধানতার কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। জিহ্বা(Tongue) পুড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা হলেও এটি বেশ কষ্টদায়ক। এর ফলে অস্বস্তি বোধ, খাবার(Food) খেতে সমস্যা, পানিশূন্যতা, মুখে শুকনোভাব ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। তাই পোড়া জিহ্বা(Tongue) দ্রুত সারানোর রয়েছে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক জিহ্বা পুড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ যা করা জরুরি-
মুখ দিয়ে জোরে শ্বাস নিন জিহ্বা(Tongue) পুড়ে গেলে মুখ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে শ্বাসের কারণে বাতাস সৃষ্টি হয় এবং জিহ্বা শীতল হয়। পোড়া ভাবও কম লাগে। চিনি ও দুধ পাউডার খান চা- কফি খাবার সময় ভুলবশত জিহ্বা পুড়ে যায়। তখনি চট জলদি পাশে থাকা দুধ পাউডার ও চিনি(Sugar) নিয়ে জিহ্বায় ছড়িয়ে দিন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আরাম অনুভব করবেন। এমনকি জ্বালাপোড়াও কমে যাবে। এটি খুব ভালো ঘরোয়া উপায়।
অ্যালোভেরার ব্যবহার সাধারণত পুড়ে যাওয়া স্থানে ঠাণ্ডা কিছু দেয়া উচিত। এতে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা(Pain) দূর হয় খুব সহজে। এর জন্য অ্যালোভেরা(Aloe vera) খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা খুব দ্রুত সময়ে ব্যথা কমায় এবং পুড়ে যাওয়া স্থানে একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অনুভূতির সৃষ্টি করে। বরফের ব্যবহার পুড়ে যাওয়া স্থানে বরফ লাগান। কারণ বরফ জিহ্বাতে ঠাণ্ডা অনুভূতির সৃষ্টি করে এবং জ্বালাপোড়া দ্রুত কমিয়ে দেয়। একান্তই যদি বরফ(Ice) না পাওয়া যায়, তবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলকুচি করে নিন। ঠাণ্ডা পানিও পোড়া স্থানের জন্য খুবই উপকারী।
ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খান জিহ্বা পুড়ে গেলে ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার ও পানীয় গ্রহণ করুন। যেমন- দই, আইসক্রিম(Ice cream), জুস ইত্যাদি। এসব খুব উপকারী। কেননা ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার পুড়ে যাওয়া জিভে শীতলতা প্রদান করে। মধু লাগান আক্রান্ত স্থানে আপনি মধু লা”গাতে পারেন। কারণ মধু(Honey) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও সংক্রমণ রুখে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। সে সঙ্গে পুড়ে যাওয়া প্রদাহ রোধ করে। তাই পুড়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বাতে মধুর প্রলেপ লাগিয়ে নিন। এটি পরবর্তীতে আপনার মুখের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করবে।
আঁশজাতীয় খাবার(Fibrous foods) গ্রহণ করুন আঁশজাতীয় খাবার পোড়া স্থানে একটি পাতলা প্রলেপ সৃষ্টি করে থাকে। যার ফলে পোড়া জায়গায় জ্বালা কম হয়। তাই বেশি করে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিন পোড়া স্থানের ব্যথা(Pain) বা জ্বালাপোড়া যদি ঘরোয়া কোনো উপায়ে দূর না করা যায়, তাহলে খুব শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরামর্শ ব্যতীত কোনো প্রকার অয়েন্টমেন্ট জিভে লাগাবেন না। এতে আপনার জিহ্বার ক্ষতি হতে পারে।
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।