এমন অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত আঙুল ফোটাতে অভ্যস্ত এবং পছন্দ করেন। অবসর পেলেই হাত-পায়ের আঙুল ফুটিয়ে থাকেন। তাদের কারও মতে এতে নাকি হাড়ের জন্য ভালো। ফলে তারা সময় পেলেই আঙুল ফুটিয়ে থাকেন।
এদিকে আঙুল ফোটানোর এই কাজটি আবার সবাই ভালোভাবে নেন না। কারও মতে, আঙুল ফোটালে আরাম বোধ করলেও এতে বাতের অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ জন্য আঙুল ফোটানো ঠিক নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই কি আঙুল ফোটানো ঠিক নয়, না ভালো? এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ প্রশান্তকুমার ভট্টচার্য। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
আঙুল ফোটোনো কি ক্ষতিকর: আঙুল ফোটানোয় কোনো সমস্যা নেই। দু-একবার ফোটানো যেতেই পারে। কিন্তু কেউ যদি দিনে একাধিকবার ফোটাতে থাকেন, তাহলে সমস্যা হতে পারে। কেননা, হাড়ের মধ্যে সাইনুভিয়াল ফ্লুইড তাকে। যা দুটি হাড়ে ঘঁষা লাগতে দেয় না। হাড়ের মধ্যে এই ফ্লুইড সবসময় একই মাত্রায় থাকে না। অনেক সময় তা কমে যায়। আর ওই সময় আঙুল ফোটানো হলে হাড়ে হাড়ে ঘঁষা লাগতে পারে। যা থেকে আর্থ্রাইটিস হতে পারে।
কখন সতর্ক হবেন: বারবার আঙুল ফোটালে সেখানে ব্যথা হতে পারে। হাড়ও ক্ষয়ে যেতে পারে। আবার ওই জায়গা ফুলে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য এসব সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে ব্যায়াম করতে হবে।
অল্প বয়সেই হাড়ের সমস্যা: অনেক সময় দেখা যায় একটু বয়স হলেই হাড়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বর্তমানে এই চিত্র ভিন্ন। এখন অল্প বয়সেই অনেকের হাড়ের সমস্যা দেখা যায়। এ জন্য হাড়ের জোর বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। প্রয়োজনে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন। আবার বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন।
যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে: সিঁড়ি উঠা-নামা করা যাবে না। এতে হাঁটুর ক্ষয় হতে পারে। ফাস্টফুড ও প্রসেসড ফুড কম খেতে হবে। দুধ, ছানা, দইয়ের মতো ক্যালসিয়ামজাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত। আর বয়স ত্রিশ অতিক্রম করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এছাড়া হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধী ওষুধ খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।