আম’রা সবাই জানি আমাদের দাঁত মাজার ব্রাশ।কিংবা চিরুনি অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করা ঠিক না। কিন্তু আমাদের আরো কিছু ব্যক্তিগত জিনিস আছে যা আম’রা অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করি, যা কোনভাবেই করা উচিত নয়।
আজ আম’রা এমন কিছু ব্যক্তিগত জিনিসের নাম বলবো যা অন্যের সাথে ভাগাভাগি করার আগে দুইবার ভেবে দেখা দরকার। পাশাপাশি আম’রা জানাবো কিভাবে এগুলোকে পরিষ্কার এবং যথাযথ রাখবো।
ঘরে ব্যবহারের জুতা
ঘরে অ’তিথি আসলে আম’রা তাকে ঘরে পরবার জন্য একজোড়া জুতা দি, মা’থায় রাখতে হবে আম’রা যাতে নিজেদের ব্যবহারের জুতা যেন না দি। কারণ আপনি যখন এক জোড়া জুতা পরবেন তখন আপনার পা ঘামতে শুরু করবে এবং ফাঙ্গাস জন্ম নেয়ার একটা যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তো একজনেরটা অন্যজন না পরাই সবচেয়ে ভালো।
একজোড়া জুতা কখনও ছয়মাসের বেশি ব্যবহার করবেন না, হোক তা আপনার সবচেয়ে প্রিয়। যদি ধোয়া সম্ভব, তবে অবশ্যই কিছুদিন পর পর ধুয়ে রাখু’ন।
ত্বকের পরিচর্যার সরঞ্জাম
চেহারায় আম’রা মেক আপ এবং পরিষ্কার করার জন্য যে সকল সরঞ্জাম ব্যবহার করি তা অন্যকারো সাথে ভাগাভাগি করা ঠিক না। হ্যা এগুলো খুব সহ’জে ধুয়ে ফেলা যায় কিন্তু সামান্য একটু ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস আপনার চেহারার বড় রকম ক্ষতি করে দিতে পারে।
প্রতিবার ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভাল করে ধুতে ভুলবেন না এবং এগুলো ২-৩ মাস পর পর পরিবর্তন করুন।
তোয়ালে
তোয়ালের প্রধান কাজ হলো শরীরের উপরিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ঘাম বা জল শোষণ করে নেওয়া। এই কারণেই আপনি যখন একেবারে সুস্থ তখনও বাথরুমের ক্রমাবর্ধমান আর্দ্রতা আপনার তোয়ালেকে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস জন্ম লাভের সেরা একটি জায়গায় পরিণত করে।
প্রত্যেকবার তোয়ালে ব্যবহার করে বাথরুমে রেখে না এসে ব্যালকনি কিংবা শুকনো কোন স্থানে শুকাতে দিন। ৩-৪ দিন পর পর একে ধুয়ে রাখবেন।
আপনার ডিওডোরেন্ট যদি বলে যে সে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে তবুও আপনার শরীরের সাথে ডিওডোরেন্টের যে অংশ স্প’র্শ হয় সেই অংশে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। আসল কথা হলো এটা সেই ব্যাকটেরিয়া যার দুর্গন্ধ দূর করতে আম’রা ডিও ব্যবহার করছি।
সবচেয়ে ভালো হয়, স্নান শেষ করে এসে ডিও লাগান কারণ তখন শরীর পরিষ্কার থাকে। দিনের অন্যান্য সময় ডিও লাগাতে হলে আগে শরীরের ঐ অংশ ভেজা টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
হেডফোন
আমাদের সবার কানে ব্যাকটেরিয়ার একটা ভা’রসাম্য আছে। যখনই আম’রা আমাদের হেডফোন কোন বন্ধুর সাথে ভাগাভাগি করি তখন মনে রাখতে হবে আম’রা নিজের ব্যাকটেরিয়ার ভা’রসাম্য নষ্ট করতে যাচ্ছি। এর ফলে আমাদের কানে সংক্রমণ হতে পারে।
হেডফোনের ভেতর থেকে ময়লা নিয়মিত বের করে ফেলুন। জল দিয়ে পরিষ্কার করার বেলায় সাবধান, এটা স্পীকারকে নষ্ট করে দিতে পারে। সপ্তাহে অন্তত একবার হেডফোন পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
আরো পড়ুন, দেশের বাজারে কম দামে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। ’সিডি ১১০ ড্রিম ডিএক্স’ নামে নতুন মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া। শহরের বাইরে বিশেষ করে গ্রামের বাজার ধরতে হোন্ডা কম দামে নতুন এ মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে।
নতুন এই বাইকের দাম ৪৮ হাজার ৬৪১ টাকা। বাইকটি মূলত কালো রঙের। এর সঙ্গে বিভিন্ন রংয়ের কম্বিনেশনে পাওয়া যাচ্ছে। যেমন- কেবিন গোল্ড, গ্রিন মেটালিক, গ্রে সিলভার মেটালিক, লাল এবং ব্লু মেটালিক। ১১০ সিসির ’সিডি ১১০ ড্রিম ডিএক্স’ বাইকটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮৬ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য, জাপানের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটর করপোরেশন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। প্রতিষ্ঠানটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিষ্ঠিত আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে জমি ইজারা নিয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে তারা মোটরসাইকেল উৎপাদনের কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম বছর তারা ১ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করবে। পঞ্চম বছরে উৎপাদনের পরিমাণ ৩ লাখ ইউনিটে উন্নীত করতে চায় তারা। শুরুতে নতুন কারখানায় প্রায় ৩০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে। পরেতে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০০ জনে।
বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের বাজারে হোন্ডা একটি পরিচিত নাম। এ দেশে অনেকে এখনো মোটরসাইকেলকে হোন্ডা নামে ডাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নতুন কারখানায় হোন্ডা তাদের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াবে। এতে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এতে এ দেশে মূল্য সংযোজন বাড়বে এবং মোটরসাইকেলের দাম কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সূত্র:ডেইলি মিরর